কুসুমকুঞ্জ প্রত্যাবর্তন - ইশরাত অলি
ঝড় বাইদলার রাইতে আচমকা কপাটে শব্দ,ঠকঠক ঠকঠক...
বাইর থাইকা অক্লান্ত গলার আওয়াজ; একটু দেহেন না কেউ! আমার বউডা ব্যাতায় কাতরায়,কেউ আছেন বাড়িত?! কেউ কি নাই?... নিশুতে রাইতে এমন কাতর গলার আওয়াজ এড়াইতে পারলো না কুসুমদেবী। দরজা খুইলা আন্ধার ছাড়া কিছুই চোখ্যে পড়ে নাই তার।ভয় মেশানো গলায় প্রশ্ন করে, কেডায়? কেডায় চিৎকার করে?
-আ আমি,আমি হরিশংকর।
আন্ধারে ঠাহর করতে না পাইরা কুসুমদেবী একখান পিদিম জ্বালাইয়া আনতেই একটা দমকা বাতাসে তার ঘোমটাখান সইরা গেলো।
পিদিমের নিভু নিভু আলোয় হরিশংকর দেখলো তার কিশোরী প্রেমিকা ক্যামন পরিণত হইয়া মাথায় সিন্দুর,শাঁখা পলা জড়াইয়া আপন মনে সংসার সাজাইসে..
ঘর বাড়ি গাঙে বিসর্জন দিয়া এই ঝড় বাইদলার রাইতে পোয়াতি বউডারে লইয়া কুসুমদেবীর ভিডাতেই ভাগ্য আইনা দাঁড় করাইলো তারে..
উলুধ্বনি,শাঁখের আড়ম্বরতা ছাড়াই হরিশংকর আর পদ্মাবতীর ঘরে আইলো এক রাজার কইন্যা,কুসুমদেবীর ভিডাতেই...
যেই কইন্যার মা হওনের কতা আছিলো কুসুমদেবীর।একটা প্রগাঢ় দীর্ঘশ্বাসে ঝড় থামলো,রাইত ফুরাইলো,আন্ধার কাইটা গেলো..
তয় দীঘশ্বাসটা কুসুমদেবীর না হরিশংকরের সেইটা মিলাইয়া গেলো নয়া আসা রাজ কইন্যার হাসিতে...
_ কুসুমকুঞ্জ প্রত্যাবর্তন...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন