অপ্রেম স্বগতোক্তি - জয়ন্ত

ভাগ্যিস তাড়িয়ে দিলে তুমি,
নাহলে ফিরে যেতে বেমালুম ভুলেই যেতাম যে।
আমাদের এই শহর,
এই শহরের সব পরিচিত পথঘাট,
অন্ধকার গলি,
নষ্ট ল্যাম্পপোষ্ট,
নিষ্ঠুর নিয়ন আলো-
সব আমার ফিরে যাওয়া দেখবে বলে বসে আছে প্রতীক্ষায়।
আমার মূহ্যমান দীর্ঘশ্বাসের উত্তপ্ততার স্বাদ পাবে বলে কত বায়ুকণা উন্মাদ হয়ে ঘুরছে আমাদের শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে!
ভাগ্যিস তুমি ফিরে যেতে বললে।
ভাগ্যিস তোমার কণ্ঠে ছিল না কোমলতা,
ভাগ্যিস তোমার স্নায়ুতে খেলছিল না একরত্তি প্রেম।
ভাগ্যিস এ শহরের রাস্তায় আমাদের আর দেখা হয়নি দুজনার।
ভাগ্যিস ভুল করেও আর হাতে লাগেনি হাতের স্পর্শ।
তবে যে অপ্রেমময় বাষ্পদূষণ এতটা সুখময় হতো আমার কাছে-
তা বলতে পারি না।
তাই এই ধূলো ধূলো শহরের প্রেমগুলো নিয়ে চললাম আমি।
পড়ে থাকল কিছু অপ্রেমিক আর্তনাদ,
পড়ে থাকল অপ্রেমের কিছু মূহুর্ত।
ফেলে রেখে গেলাম এক চেনা স্মর,
ফেলে রেখে গেলাম বিলীন যৌথ পদচিহ্ন।
আমাদের দুজনার শহর লিখে দিলাম শুধু তোমাকে,
লিখে দিলাম আমি একজন অপ্রেমিকার নামে।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন