চারুদিদি - জয়ন্ত

চারুদিদি ,  
জানো ,তোমার নামে চিঠি আজও আসে ।
জানি  না ,
কোন সেই শহুরে ছেলে যে তোমায় ভালোবাসে !

চারুদিদি ,
তোমায় ভেবে  হয়ত সে ঘুমিয়েই পড়ে আজো ।
তবে আমাদের গাঁ এর ডাকঘরটি কিন্তু হয় নি  অকেজো ।
অন্ধকার সেই শীতের রাতে শুষ্ক মাটির পরে ,
ছেলেটি হেথায় কেঁদেই মরে তোমায় দেখার তরে।

কেয়া ঝাড় ঐ বাশ ছেড়েছে ,
ঘ্রাণটা কি তুমি পেয়েছো ?
চোখ না মুছে বলো তো দিদি 
ভুলতে কি সব পেরেছো ?

ঐ যে সেদিন প্রথম দেখায় লোক
চক্ষুর সম্পূর্ণ আড়ালে ,
নোলক ভয়ে কেঁপে উঠেছিল কেন দিদি ?
যদি কিনা  সে দেখে ফেলে ?
আর যে সেদিন খালের পাড়ে শেষ রাত্রির দিকে ,
নীরব ভাষা কানে এসেছিলো অনেকটা দূর থেকে ।

সেই যে কত গোপন প্রণয় !
হারিয়ে গেল কোথা ?
তোমার পায়ের নূপুর দেহে
বাজছে কত বাথা !

গ্রীষ্ম ফুরোয়,
বর্ষা ফুরোয়,
ফুরোয় না বুঝি শুধু চোখের জল।
ভালো তো সত্যিই বেসেছিলে  তাকে,
তবুও তা করলেই বিফল !

আকাশের জল তো আকাশেই ফেরে ,
সাগরের জলও নাহয় সাগরে ,
কিন্তু দু'চোখ হতে তো এতো জল ঝরে,
তবুও বলো ,
তা ফেরে কি করে?

চাঁদ,সূর্য  কিংবা নীহারিকা  যেই কাঁদুক না কেন,
জল কি মুছতে যাবে কেউ ?
যাবেই বা কেন বল তো,
তুমি যে এখন পরের ঘরের বউ..................................................................


মন্তব্যসমূহ