নামহীন - জয়ন্ত
তোর দিপকে নিয়ে বেশ যন্ত্রণাতেই আছি বলা চলে।
যন্ত্রণাটা ঠিক কিসের তা এখনো বুঝে উঠতে পারলাম কই!
যন্ত্রণার কারণ না খুঁজে পাওয়া আরও বেশি যন্ত্রণার।
মনে আছে, এই আমিই কিনা একদিন গল্প লিখেছিলাম,
প্রেমের গল্প - তোকে আর তোর ঐ হতচ্ছাড়া দিপকে নিয়ে?
মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ছিঁড়ে ফেলতে পারতাম!
হিংসা যে দিনে দিনে হিংস্র হচ্ছে।
তুই হয়ত বারকয়েক বুঝতেও পেরেছিস।
তবে এটা সত্যি,
তোর সামনে অভিনয় করবার ব্যার্থ প্রয়াসে হেরে গেছি আমি বার বার।
বাক্য প্রসবের যন্ত্রণা আগেও হয়েছে কতকবার।
প্রসব বেদনা ছাড়াও যে আরও একটা বেদনা হয় বাক্য জন্মদানের পর মুহূর্তে,
তা আজ বুঝলামা আমি।
একদিন তুই জানতে চেয়েছিলি না,
কি চাই আমার তোকে নিয়ে লেখা গল্পটার বিনিময়ে?
কথা ঘুরিয়ে সেদিন বলেছিলাম বটে,
বিনিময় প্রথাকে আমি প্রচণ্ড ঘৃণা করি।
কিন্তু আজ মনে হল কিছু একটা চাওয়া উচিত আমার তোর কাছে।
হ্যাঁ, একটা জিনিস চাইবো।
মাত্র একটা জিনিস।
বলব?
হাসবি না তো?
বল তিন সত্যি।
ন্যাকামি করে ফেললাম, নাহ?
যেদিনটায় তুই খুব ব্যাস্ত হয়ে পড়বি তোর হিংসুটে মেয়েটার স্কুলের টিফিন বানানোর কাজে,
অথবা তোর দুষ্টু ছেলেটার হাত থেকে কখন কাঁচের গ্লাস পড়ে ভাঙল,
কাঁচের টুকরায় কারো পা কাটলো কিনা,
এগুলো দেখতে থাকবি,
নজর রাখবি সারাক্ষণ।
অথবা মনে কর,
বিছানার চাদরটা এলোমেলো থাকলে অস্বস্তিতে বার কয়েক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে টান টান করে ভাঁজ করবি চাদরটাকে।
অথবা, যে সকালটায় তোর অর্ধাঙ্গ,
যার সাথে রাত কাটাস তুই একি বিছানায়,
তোর সযত্নে চুল বাঁধার সময় পেছন থেকে এসে বলবে-
দ্রুত গরম জলটা দাও, স্নানটা সারবো।
যার বিদায় বেলায় সদর দরজায় হেলান দিয়ে শ্রান্ত গলায় বলবি,
সাবধানে যেয়ো কিন্তু।
আবার মনে কর তুই ভুলেই গেলি তিলোত্তমা শব্দের অর্থ কি!
মনে কর, তোর রবি ঠাকুর হয়ে পড়ল একা।
তোর সুনিলের প্রথম আলো পরিণত হল কাঠের বুকশেলফে রাখা সামান্য একটা জড়বস্তুতে।
সেদিনটায় খুব মনে করে আমায় মনে করিস।
যেদিনটায় তোর মোবাইলের নাম্বার লিস্ট থেকে হারিয়ে যাবো আমি,
ফেসবুকের ভার্চুয়াল জগতে আমার মুখে হাত দেয়া ছবি আর আসবে না ভেসে তোর ম্যাসেঞ্জারের হোমপেজে,
সেদিনটায় মনে করে একটা চিঠি লিখিস আমায়,
অথবা কবিতা।
তাতে লেখা থাকবে-
আমার পাকা চুল গুলোর কি অবস্থা!
ওরা কি কলপের কালির স্বাদ পেয়েছে!
নাকি আরও ধুসর হয়েছে!
বিষাদের ধুসরতা!
আরও জিজ্ঞাসা করবি আমার আনন্দ কেমন আছে!
আনন্দর নাচ দেখে আমি সত্যিই কেঁদেছি কিনা!
আমার জ্বরে গা পুড়লে আনন্দ রাত জেগে সত্যিই কি চোখের তলে কালি ফেলে কিনা!
ইত্যাদি,ইত্যাদি.....................।
আমার ঠিকানাটা না থাকে থাকুক।
রেখে দিস যত্ন করে নিজের কাছে।
অথবা আমার বিনোদিনীর কাছে।
চিন্তা করিস না,
সময় করে ঠিক পড়ে নেব।
যন্ত্রণাটা ঠিক কিসের তা এখনো বুঝে উঠতে পারলাম কই!
যন্ত্রণার কারণ না খুঁজে পাওয়া আরও বেশি যন্ত্রণার।
মনে আছে, এই আমিই কিনা একদিন গল্প লিখেছিলাম,
প্রেমের গল্প - তোকে আর তোর ঐ হতচ্ছাড়া দিপকে নিয়ে?
মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ছিঁড়ে ফেলতে পারতাম!
হিংসা যে দিনে দিনে হিংস্র হচ্ছে।
তুই হয়ত বারকয়েক বুঝতেও পেরেছিস।
তবে এটা সত্যি,
তোর সামনে অভিনয় করবার ব্যার্থ প্রয়াসে হেরে গেছি আমি বার বার।
বাক্য প্রসবের যন্ত্রণা আগেও হয়েছে কতকবার।
প্রসব বেদনা ছাড়াও যে আরও একটা বেদনা হয় বাক্য জন্মদানের পর মুহূর্তে,
তা আজ বুঝলামা আমি।
একদিন তুই জানতে চেয়েছিলি না,
কি চাই আমার তোকে নিয়ে লেখা গল্পটার বিনিময়ে?
কথা ঘুরিয়ে সেদিন বলেছিলাম বটে,
বিনিময় প্রথাকে আমি প্রচণ্ড ঘৃণা করি।
কিন্তু আজ মনে হল কিছু একটা চাওয়া উচিত আমার তোর কাছে।
হ্যাঁ, একটা জিনিস চাইবো।
মাত্র একটা জিনিস।
বলব?
হাসবি না তো?
বল তিন সত্যি।
ন্যাকামি করে ফেললাম, নাহ?
যেদিনটায় তুই খুব ব্যাস্ত হয়ে পড়বি তোর হিংসুটে মেয়েটার স্কুলের টিফিন বানানোর কাজে,
অথবা তোর দুষ্টু ছেলেটার হাত থেকে কখন কাঁচের গ্লাস পড়ে ভাঙল,
কাঁচের টুকরায় কারো পা কাটলো কিনা,
এগুলো দেখতে থাকবি,
নজর রাখবি সারাক্ষণ।
অথবা মনে কর,
বিছানার চাদরটা এলোমেলো থাকলে অস্বস্তিতে বার কয়েক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে টান টান করে ভাঁজ করবি চাদরটাকে।
অথবা, যে সকালটায় তোর অর্ধাঙ্গ,
যার সাথে রাত কাটাস তুই একি বিছানায়,
তোর সযত্নে চুল বাঁধার সময় পেছন থেকে এসে বলবে-
দ্রুত গরম জলটা দাও, স্নানটা সারবো।
যার বিদায় বেলায় সদর দরজায় হেলান দিয়ে শ্রান্ত গলায় বলবি,
সাবধানে যেয়ো কিন্তু।
আবার মনে কর তুই ভুলেই গেলি তিলোত্তমা শব্দের অর্থ কি!
মনে কর, তোর রবি ঠাকুর হয়ে পড়ল একা।
তোর সুনিলের প্রথম আলো পরিণত হল কাঠের বুকশেলফে রাখা সামান্য একটা জড়বস্তুতে।
সেদিনটায় খুব মনে করে আমায় মনে করিস।
যেদিনটায় তোর মোবাইলের নাম্বার লিস্ট থেকে হারিয়ে যাবো আমি,
ফেসবুকের ভার্চুয়াল জগতে আমার মুখে হাত দেয়া ছবি আর আসবে না ভেসে তোর ম্যাসেঞ্জারের হোমপেজে,
সেদিনটায় মনে করে একটা চিঠি লিখিস আমায়,
অথবা কবিতা।
তাতে লেখা থাকবে-
আমার পাকা চুল গুলোর কি অবস্থা!
ওরা কি কলপের কালির স্বাদ পেয়েছে!
নাকি আরও ধুসর হয়েছে!
বিষাদের ধুসরতা!
আরও জিজ্ঞাসা করবি আমার আনন্দ কেমন আছে!
আনন্দর নাচ দেখে আমি সত্যিই কেঁদেছি কিনা!
আমার জ্বরে গা পুড়লে আনন্দ রাত জেগে সত্যিই কি চোখের তলে কালি ফেলে কিনা!
ইত্যাদি,ইত্যাদি.....................।
আমার ঠিকানাটা না থাকে থাকুক।
রেখে দিস যত্ন করে নিজের কাছে।
অথবা আমার বিনোদিনীর কাছে।
চিন্তা করিস না,
সময় করে ঠিক পড়ে নেব।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন