নিশ্চিহ্নতার হাতেখড়ি - জয়ন্ত

অতঃপর একদিন আমরা দুজন  নিশ্চিহ্ন হবো।
প্রজাপতির মতো পাখা মেলে পালাবে আমাদের রুপকথার অতৃপ্ত নীলিমারা।
হ্যাঁ,
এটা সত্যি যে উড়বার আশা আমাদের কোনোদিনই ছিল না।
আশা তো ছিল কেবল মাটিতে খালি পায়ে দাড়িয়ে আকাশ দেখার।
আকাশ নীল হতে পারে,
আবার ধুসরও।
অথবা যদি কালো হয়ে যায় মেঘের প্রেম নিবেদনে,
তবুও ক্ষতি নেই।
আমরা খেলবো কথার রূপ নিয়ে।
রূপের কথা তো ছেলেমানুষি।

তুমিই হয়তবা একদিন বলেছিলে,
আমাদের কাছে ডানা ঝটপটানিটা নিছকই কল্পনা।
কল্পনা তো আরও অনেক আছে।
দাবার গুটি, পায়রার খোপ, হাত বাড়িয়ে বাতাস স্পর্শ,
কত না কথা তোমার!
আমি শুনি আর হাসি।
তারপর আমার হাসি দেখে তোমার সে কি রাগ!
কত না অভিমান!
সে রাগের নিষ্ঠুর আঘাতে আমি পড়ে যাই মুখ থুবড়ে।
বিষণ্ণতা বাসা বাধে কতক সময়।
আমি তলিয়ে যাই সেই দিনগুলোর ভাবনার জলস্রোতের শেষ সীমানায়।
 

আচ্ছা,একটাদিন কি সত্যিই আমরা নিঃশেষ হবো?
রবি ঠাকুরের কাদম্বরী শেষ দানে বোড়েটা ঠেলে কিস্তি দিয়েছিলো।
ভেবেছিল জিতে যাবে।
কতটা বোকা!
তোমার শেষ দানে আমি আগে ভাগেই আমার রাজা উঠিয়ে নিলাম।
তোমার আর হারবার ভয় নেই।
কাঁদবারও না।

                               

                                       






মন্তব্যসমূহ