নির্জিত - শাইয়িন কবির
কালো পিচের উপর নুড়িকঙ্করগুলো...
তরকারি দিয়ে দিয়ে ভাত যেমন মাখানো হয়,
তেমনি মাখিয়ে রাখা
চাপ চাপ পুড়িং এর মত জমে থাকা রক্তে...
হৃদপিন্ডের চাপে কবজির উমুক্ত দুয়ার দিয়ে সোল্লাসে
ভুপাতিত
রাঙা তরল,
ধমনীর উন্মাদনা যান্ত্রিক ফোয়ারার মত ফুঁসে নিঃশেষ করছে শেষ বিন্দুটুকুও!
নীল বা অবনীলের গন্ডি পেরিয়ে
চোখজুড়ে নেমে আসা কালো পর্দা জানান দিচ্ছে
মৃত্যুর উপস্থিতি।
শেষটা ভালো হলো না কবির,
সব অন্ধকার হঠাৎ যেন ঘিরে ধরে
মাকড়সার ঘৃণ্য আট পায়ে;
পাওয়া না পাওয়ার হিসাবের ঝুলি,
সময়ের গেলাসে পানের শরাব,
জাগতিক সব অভিশাপ!
হঠাৎই কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে লাগলো তাকে...
হায়!
প্রিয়তার অভিশপ্ত চিবুক একবার মনে পড়ে কি?
নাহ!
ঘৃণায় চঞ্চল হয়ে উঠলো কবি!
যেন এই মুহুর্তে সেখান থেকে পালাতে চাইছেন,
সর্বশক্তি নিংড়ে নিয়ে উঠে দাঁড়াতে চাইলেন একবার,
যেন নিভে যাওয়ার আগে শেষ বারের মত দপ করে জ্বলতে চাওয়া কোন মৃতপ্রায় প্রদীপ।
কিন্তু লাভ হলো না
কবি আবার মাটিতে লুটালেন
তবে
এবার কালো পিচে নয়,
পৌষের ঘাসের উপর,
যেখানে আঁধার বিদায়ের শিশির বাসা বেধেছে...
শেষ পর্যন্ত,,,
কথা রাখতে পারে নি কবি
হেরে যাওয়ার অনুভূতিটা বুঝি এমনই হয়?
হেরে যাওয়ার অনুভূতিটা বুঝি এমনই হয়?
good
উত্তরমুছুন