অপবৃত্ত - শাইয়িন কবির
ইদানীং বুকের ভেতর কেমন কেমন করা একটা শূন্যতা নিয়ে ঘুমাতে যায় মুগ্ধ। কি যেন নেই, কি যেন নেই। এমন বিচ্ছিরি অনুভূতিগুলো খুব পীড়াদায়ক হয়। মুগ্ধ ঘুমাতে পারে না।
খানিকক্ষন এপাশ ওপাশ করে বিছানা ছেড়ে সোজা ছাদে গিয়ে আঁধারে মুখ গুঁজে থাকে সে।
ওর বাসার ছাদের এপাশটা থেকে জলার উপর রাতের আকাশের চমৎকার প্রতিফলন দেখা যায়। জলা বলতে স্রেফ ডোবা, এক হাটু জল, কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ কোমড় পর্যন্ত কাদায় ডুবে যেতে পারে, এই যা.... তবে ডোবা বলে হেলা করবেন? তা সম্ভব নয়, ভদ্রভাষায় জায়গাটাকে জলা বলে, তবে এর নৈতিক এবং অর্থনৈতিক অন্য পরিচয়ও আছে। যেমন বাংলাদেশ জাতীয় মশা প্রজনন কেন্দ্রের অন্যতম একটি বড় শাখা এখানে অবস্থিত, গঞ্জিকাপূজিরীরা জলার দ্বীপসমুহে প্রতিদিনই ধূপ ধুনো জ্বালিয়ে পূজো অর্চনা করে থাকেন। এইতো সেদিনই একটা সুন্দরী মেয়েকে জলায় মরে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, হত্যা না আত্মহত্যা তা যদিও ঠিক করে কেউ বলতে পারে না, তবে সম্ভবত আত্মহত্যাই হবে। হয়ত জলার জলের তীব্র মিষ্টি সুবাসে আত্মহারা হয়ে ঝাপ দিয়ে বসেছিল অভাগী মেয়েটা।
আহারে!
সে যাই হৌক, এ জলার প্রতিটি অণু পরমানু কাঁচা সোনার দরে বেঁচা হয়....
তবে সে সব নিয়ে মাথা ঘামায় না মুগ্ধ।
তার কাছে তার ক্ষীয়মাণ দৃষ্টির প্রসারিত দুরত্বজুড়ে রাতের এই দুই আকাশের সৌন্দর্যের কাছে সে সব নস্যি। সে আকাশে তাকায়, মুহুর্তটা হঠাৎই হালকা হয়ে যায় তার। ইলেক্ট্রিক বাতির মত উজ্জলবর্ণী একটা চাঁদ আকাশের এক কোণায় দেখা যায়,সে মুগ্ধ হয়।তার কাছে চাঁদটাকে হঠাৎ মনে হয় বিশাল একটা টাওয়ারের মাথায় একটা জাজ্বল্যমান একখানা বাতি....
একটা?
একটা নাকি কয়েকটা?
কয়েকটাই তো....
চোখ রগড়ে আরেকবার তাকায় মুগ্ধ। খুব কাছ দিয়ে সাঁই করে একটা এরোপ্লেন উড়ে যায়।
মুগ্ধ সামনে তাকায়, চাঁদের যায়গাটা ফাকা।
নিজের অক্ষমতায় মুগ্ধ একবার হাসে।
আবার হঠাৎই তার মধ্যে নৈরাশ্যের সেই বিচ্ছিরি বিষাদ ভর করে, আঁধার আর শূন্যতার পার্থক্য সে ধরতে পারে না।
পার্থিব যত হীন যোগ বিয়োগ গুন ভাগ অন্তরীকরন ফাংশন ফাংগাস যোগজের হিসাব অক্টোপাসের মত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে তাকে!
কি করবে সে ভেবে পায় না।
আগামীকালের মিলের টাকাটা জুটবে তো?
কোথাও বিরিয়ানী রান্না হচ্ছে কি? কি সুঘ্রান আকাশে বাতাসে! মুগ্ধদের কি খাবারের লোভ থাকতে আছে?
আবার হঠাৎই তার মধ্যে নৈরাশ্যের সেই বিচ্ছিরি বিষাদ ভর করে, আঁধার আর শূন্যতার পার্থক্য সে ধরতে পারে না।
পার্থিব যত হীন যোগ বিয়োগ গুন ভাগ অন্তরীকরন ফাংশন ফাংগাস যোগজের হিসাব অক্টোপাসের মত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে তাকে!
কি করবে সে ভেবে পায় না।
আগামীকালের মিলের টাকাটা জুটবে তো?
কোথাও বিরিয়ানী রান্না হচ্ছে কি? কি সুঘ্রান আকাশে বাতাসে! মুগ্ধদের কি খাবারের লোভ থাকতে আছে?
কে জানে!
তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না মুগ্ধ!
পিপাসার্তের মত একবার পকেট হাতড়ায় সে।
একটা বিশুদ্ধ তামাকের নিকোটিন শলাকা কি হবে তার কাছে?
তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না মুগ্ধ!
পিপাসার্তের মত একবার পকেট হাতড়ায় সে।
একটা বিশুদ্ধ তামাকের নিকোটিন শলাকা কি হবে তার কাছে?
একটা বিশুদ্ধ তামাকের নিকোটিন
উত্তরমুছুনশলাকা! হবে?
হবে হয়ত,
উত্তরমুছুনকে জানে!
তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না মুগ্ধ!