রানাগেট - শাইয়িন কবির
এক চিলতে আগুন কতখানি ভরসা যোগায়?
একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে ভাবতে থাকে মুগ্ধ!
শুনশান ফাকা হাইওয়ে!
মাঝেমধ্যেই দুরপাল্লার কিছু যান পো পো করে হর্ন বাজিয়ে শো শো করে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। আর কোন সাঁড়াশব্দ নেই,যে অল্পবিস্তর দোকানপাট ছিল তার একটিও খোলা নেই, দোকানীরা পেশা ছেড়ে ঘরের নেশায় ছুটেছে অনেক আগেই।
তাকে বহনকারী বাসটি হঠাৎ থামিয়ে এই অচেনায় তার এই নেমে যাওয়ার কারন কি?
সে নিজেও জানে না,
তার গন্তব্য তো ছিল বহুদুরের...
একরাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার যেন পুঞ্জিভূত হয়ে আছে চারপাশে,একটা ল্যাম্পপোস্ট অবশ্য ছিল, তার বাতি বহুক্ষণ জ্বলার চেষ্টা করেও না জ্বলতে পারার অভিমানেই শেষ পর্যন্ত ক্ষান্ত দিয়েছে বোধ করি।
দু একটা রাতজাগা বাদুর চামচিকা অনাহুত এই অতিথিকে দেখেই কিনা বারবার টহল দেয়।
কে জানে?
তবে মন্দ লাগে না মুগ্ধের।
রাস্তার পাশে একটা বন্ধ টংএর ভাঙ্গা বেঞ্চিতে পা ঝুলিয়ে আরাম করে বসেছে সে।
একটা জ্বলন্ত বিন্দু জ্বলছে নিভছে বারবার,
ধোঁয়া উড়ছে, নীলচে ধোঁয়া!
পরিচিত স্বাদ, তবে কোথায় যেন তাল কেটে যাওয়ার বিতৃষ্ণ বিস্বাদ ভর করেছে তার মধ্যে।
এই কিছুদিন আগেই তো....
তন্ময়ের সাথে ফুলের দোকান থেকে কেনা সেই দুটো সিগ্রেটের কথা সে কখনোই ভুলতে পারবে না সে,
কি স্বপ্নই না মেশানো ছিল তাতে!
একবারের জন্য হলেও ঠোঁটের কোনায় এক চিলতে হাসি জ্বলে উঠলো তার।
কি অদ্ভুত না?
পায়ের কাছে একগাদা ফিল্টার জমে গিয়েছে,হেডফোন টা খুলে পড়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ,
তামাকের তৃষ্ণায় আবার প্যাকেট হাতড়ায় মুগ্ধ, একটা নেড়ি কুকুর ল্যাজ নাড়তে নাড়তে পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়ে তার,
অচেনা জনপদ ঘুমিয়ে গিয়েছে সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে অনেক আগেই।
মুগ্ধের শ্রান্ত মস্তিষ্কও ক্লান্তিতে ঢলে পড়ে,
তারও ঘুম পাচ্ছে,,,
গভীর ঘুম.....
#মুগ্ধ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন